ছবি: রি য়া ন সি কা সে ন - ১১ বছর
লেখা: শী র্ষে ন্দু সেন
সুইডেন
আচ্ছা দুগগা ঠাকুরের কি বয়স বাড়ে? কে জানে? আমাদের যেমন বাড়ে! দাঁড়ি পাকে। চুল পাকে। কপালের চামড়া কুঁচকে যায়। নাকটা কেমন আবু পাহাড়ের মত উঁচু হয়ে যায়। এদিকে কার্তিক দাদা তো কচি খোকাটি সেজে সেই যে পা তুলে বসলেন। আর তো নামার নামই নেই। করবেনটাই বা কি? কার সাথেই বা খেলবেন? আমাদের গণেশ দাদা তো দিন দিন মোটা হয়েই যাচ্ছেন! খেলাধুলো ছুটোছুটি কিচ্ছুটি করবেন না। খালি খাওয়া আর খাওয়া। কত করি বলি একটু খাওয়াটা কমাও। তা নয়। উল্টে কোথা থেকে সব গুচ্ছ গুচ্ছ খাবার অর্ডার করে! এক গাদা কলা, আপেল, মূলো, শাক পাতা যা পায় তাই খায়। সেই দিন তো জোমাটো থেকে দশ বারোটা মোচা এল। গপাগপ গিলল। বলে মোচা খেয়ে ডায়েট কন্ট্রোল করবে। ওকে নাকি সরস্বতী ডায়েট প্ল্যান দিয়েছে! বোঝো! আরে সেই ছ্যেমড়ি তো নিজেই মাথা ঘুরে পরে গেছিল হেল্সিংবোর্গের পুজোতে তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর। ভাগ্যিস লক্স এমার্জেন্সিতে ফোন করল। এই তো! লক্স শুনেই ভাবতে বসেছ? আরে আমাদের লক্সমি দিদি গো লক্সমি দিদি! অমন পয়মন্ত দিদি আমাদের। কি ভালো মেয়ে। এক ডাকে সারা দেয়। একদম মোবাইল দেখে না। সেই কবে একবার শিব কাকু এট্টু বকেছিল। ওই যে সেদিন শিব কাকুর জটা থেকে গঙ্গা পিসি লাফিয়ে নিচে নামছিল। লক্সমি দিদির হাতে ছিল ফোন। ব্যাস, সেই ফোন ভিজে কাদা মেখে পুরো একসা। বেম্ম দাদু সেদিন ধ্যান থেকে উঠে সবে বসেছিল, ওমা সে কি আর শান্তি আছে? ভিজে ফোন নিয়েই ছুটল মালমো। ছ টা বাজলে তো আবার সার্ভিস সেন্টার বন্ধ হয়ে যাবে। তারপর থেকেই লক্সমি দিদি এট্টু সমঝে চলে!
এবারে আবার শুনছি একটা ছোট্ট মেয়েও পুজো পাবে। কি ভালো। কদমা, কাঁচা গোল্লা, মাখা সন্দেশ দিয়ে চিঁড়ে মেখে কলা দিয়ে চটকে খাইয়ে দেবো! পাড়ার বাকি কুচো গুলোও একটু প্রসাদ পাবে! ও হ্যাঁ একটা কথা, কলার কাঁদিটা একটু লুকিয়ে রাখতে পারবে? মানে তেনার চোখে পড়লে তো আর রক্ষে নেই! মূলোর মত দাঁত দিয়ে কুটি কুটি করবে। কেউ নেবে দায়িত্ব? তোমাকে বলছি! তাহলে ওই কথাই রইল! পুজোতে দেখা হচ্ছে। এখন আসি। কলার কাঁদিটা.. মনে থাকে যেন!